সার্ব্বজীবিক ভাষাকে বৈজিক ভাষা কহে। যেমন বীজ হইতে সমস্তই উৎপন্ন হয়, তদ্রুপ ঐ বীজ-ভূত ভাষা হইতে নিখিল ভাষার উৎপত্তি হইয়াছে বলিয়াই উহার ঐ নাম হইয়াছে। বৈজিক ভাষায় জ্ঞান লাভ হইলে সমস্ত জীবের সমস্ত ভাষা জ্ঞাত হওয়া যায়। কিন্তু, যেমন একটি ক্ষুদ্র অম্রফল যে-সে জীবে খাইতে পারিলেও, উহার উৎপাদক বৃহৎ বৃক্ষটি ভক্ষন করা দৃশ্যমান জগতের কোন একটি জীবের সাধ্য নহে, তদ্রুপ উৎপন্ন ভাষা সমূহে জ্ঞান লাভ করা সামান্য আয়াসসাধ্য, উৎপাদিকা ভাষায় তদ্রুপ নহে। ঐ উৎপাদিকা বৈজিক ভাষায় জ্ঞান লাভ করিতে হইলে আত্মাকে বহুগুণে উন্নতকরিতে হয়, তাহা না হইলে কদাচ তাহাতে জ্ঞান প্রাপ্ত হওয়া যায় না।
বর্তমান প্রবর্তক গুরুদেব |
এই মহিয়সী ভাষা পূর্ণ ও অশেষগুণ সম্পূর্ণ বলিয়া মহাত্মা ভোলানাথ এই ভাষায় দীক্ষাদান প্রনালী ভূমন্ডলে প্রথম প্রবর্তিত করেন এবং বর্তমান সময়ে সত্যধর্মাবলম্বী গুরুগণ এই কারনে বৈজিক ভাষায় দীক্ষামন্ত্র প্রদান করিয়া থাকেন।
0 Comments