~Wellcome to Satyadharmma website~

তিনি নিজেকে প্রকাশ করেছেন তাই আমরা জানতে পেরেছি।



“আদিষ্ট সাধকের প্রতি বিশ্বাস কর ও তাহার শরণাপন্ন হ‌ও এবং তিনি যাহা বলেন, তাহা বর্নে বর্নে প্রতিপালন কর, দেখিবে কোনো যন্ত্রনা থাকিবে না। হে পরিশ্রান্ত ভারাক্রান্ত মানবগণ! তোমাদিগের জীবন ও উদ্ধারের উপায় অমরা জ্যোতিঃ বেন্দারূপ উদয়াকাশে উদিত হ‌ইয়া ইহলোকের ও পরলোকের নানা স্থান আলোকিত — তোমরা দক্ষিণায়নে উত্তর মেরুর নিবাসীগণের ন্যায় ঘোরতর অন্ধকারে পড়িয়া রহিয়াছ ?

    হে ক্লান্ত শ্রান্ত পাপা ক্রান্ত মনুষ্যগণ! তোমাদিগের বিশ্রামের জন্য, তোমাদিগকে ক্ষণমাত্র উদ্ধারের জন্য পরম মঙ্গলময় পরমেশ্বরের স্বীয় পুত্রকে পৃথিবীতে রাখিয়াছেন। কিন্তু হায় ! তোমরা তাহাকে চিনিতেছনা !

     যিনি বলতে পারেন যে, — “হে মানবগণ ! আমি তোমাদিগের অসত্য হ‌ইতে সত্যপথের নেতা আমি তোমাদিগের অন্ধকার হ‌ইতে জ্যোতিঃ স্বরূপের প্রাপক এবং আমি‌ই তোমাদিগের জীবন, তোমরা আমাকে আশ্রয় কর।” এতবড় উচ্চতম ভাষা ব্যবহার করিতে যাহার শক্তি, তোমরা তাহাকেও চিনিলে না ?

     পৃথিবী মন্ডলকে আমরা অতি উচ্চস্থানে স্থিত বোধ করিতাম। কিন্তুহে মনুষ্যগণ ! তোমাদিগের অন্ধভাব দেখিয়া সেবোধ যেন নিস্তেজ হ‌ইয়া যাইতে লাগিল। হে মর্ত্ত্যবৃন্দ ! তোমরা অমরত্ব লাভ করিতে উৎসুক হ‌ইতেছ না কেন ?”

       তিনি যে ব্রহ্মদর্শন করিয়াছেন তা তিনি এই গানে বলিলেন :- 
       আমি তোমারি নাথ! আমারি ধন হে তুমি!
     তোমার মঙ্গল চরণে পড়ে আছি সদা আমি।
অনন্ত প্রায় এ ব্রহ্মাণ্ড,         সকলি তোমার কাণ্ড,
আমারি অভেদভাণ্ড,           এ বিশ্ব সকলি আমি।
আকাশ, বায়ু, অনল            কি সলিল কিবা স্থল,
আমি আছি সর্ব্বস্থল              এ বর দিয়াছ তুমি।
কিন্তু তবু তব অন্ত,                না পাইনু প্রাণ কান্ত,
কেমনে হইব শান্ত,             শ্রান্ত ক্লান্ত এবে আমি।
কিবা দেব কি দানব             যক্ষ রক্ষঃ কি মানব,
তোমারি প্রেমের গুণে     সকলি তো বিভো আমি।
কিবা পশু পাখি যত                 কীট পতঙ্গ অযুত,
তোমারি প্রেমের গুণে      সকলি তো বিভো আমি।
তরুলতা আদি যত,                  নদ হৃদাদি পর্ব্বত
তোমারি প্রেমের গুণে      সকলি তো বিভো আমি।
কিন্তু তবু তব অন্ত                   না পাইনু প্রাণকান্ত
কেমনে হইব শান্ত              শ্রান্ত ক্লান্ত এবে আমি।।
                               -----------

  আমাদের সুখের জন্য গুরুদেব কি বলিলেন দেখুন

                    তোদিকে হেরি সুখে ভরা।
আমি এ আনন্দ নাশিবারে আসি নাই জানিবি তোরা।
 যাতে এ আনন্দ বৃদ্ধি,         হয় তোদের চিত্ত শুদ্ধি,
  (আমি) তার‌ই তরে এই বুদ্ধি, করিয়ে এসেছি ধরা।
      না ঘটিবে আধিব‍্যাধি,  সুখে রবি নিরবধি,
  (সে যে) সুমঙ্গলময় বিধি, স্ব করমে বাঁচা, মরা।
    দেহে কর আত্মজ্ঞান।  শুক্তিতে মুক্তার ভাণ,
      দূরে যাবে এ অজ্ঞান, স্বর্গ হবে এই ধরা।

Post a Comment

0 Comments