সিদ্ধ ব্যক্তির মতে "শাস্ত্রের নাম শ্রবণ করিয়াই মুর্খজনকৃত ব্যাখ্যায় বিমোহিত হইও না। ব্যাখ্যাকারেরা ভ্রমবশতঃ অনেক স্থলে শাস্ত্রের যে প্রকৃতার্থ অধিকাংশ মানবের জ্ঞানের বিষয় হইতে বহুদূরবর্তী হইয়াছে, ইহার অনেক দৃষ্টান্ত অনেকেই অবগত আছেন।
এতদ্ভিন্ন একশ্রেণীর নরাধমেরা শাস্ত্র-মধ্যে স্বরচিত বচন প্রক্ষেপ করিয়া, উহাকে খিচুড়ী প্রায় করিয়া তুলিয়াছে। শাস্ত্র-তুন্ডলে এত তূষের হইয়াছে যে, এক্ষনে উহাদের কোনটী ঋষি প্রণীত এবং কোনটীই বা মূর্খক্ষিপ্ত, তাহা নির্ণয় করা সুকঠিন হইয়াছে।
এই মহান মহৎ উক্তি বিষয়ে প্রশ্ন থাকলে করতে পারেন। |
এতদ্ভিন্ন একশ্রেণীর নরাধমেরা শাস্ত্র-মধ্যে স্বরচিত বচন প্রক্ষেপ করিয়া, উহাকে খিচুড়ী প্রায় করিয়া তুলিয়াছে। শাস্ত্র-তুন্ডলে এত তূষের হইয়াছে যে, এক্ষনে উহাদের কোনটী ঋষি প্রণীত এবং কোনটীই বা মূর্খক্ষিপ্ত, তাহা নির্ণয় করা সুকঠিন হইয়াছে।
একারণ "যুক্তিহীন-বিচারেণ ধর্মহানীঃ প্রজায়তে"
অর্থাৎ যুক্তি হীন বিচারে ধর্মহানি হয়, এই ঋষিবাক্য স্মরণ করিয়া শাস্ত্রর্থ করিবে। এবং যাঁহারা নিঃস্পৃহ ও শাস্ত্রজ্ঞ, তাদৃশ মহাত্মাদিগের নিকট হইতে যহা জানিতে পারিবে, তাহাই যে পরম শাস্ত্র, এই মহিষ্ঠজ্ঞান সর্ব্বদা দ্রঢ়িষ্ঠ রাখিবে।
0 Comments